পরিচিতি
ধানের শুঁয়োপোকা হল একধরণের লেপিডেপ্টেরান পোকা যারা ধানের ক্ষেতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এরা ফ্যাকাশে এবং দেখতে সমান আকারের হয়ে থাকে। এছাড়াও, পুরুষের কোষের শেষ এবং প্রান্তের মধ্যবর্তী স্থানে অর্ধেকের কম-বেশি খালি জায়গায় কালো চিহ্নের একটি বাঁকা সারি থাকে। ধানের শুয়পোকা(Laelia suffusa) এর লার্ভা একটি লোমশ বা অস্পষ্ট চেহারা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যা তাদের শণাক্তকরণে সাহায্য করে। এদের রঙ পরিবর্তিত হতে পারে, তবে এরা সাধারণত বাদামী বা সবুজাভ হয়। লার্ভা ধান গাছে খাবার খায়, পাতা খেয়ে ফেলে এবং পচন ঘটায়।
English name
Bangla name
বৈজ্ঞানিক নাম
ধানের শুঁয়োপোকা
ধানের শুঁয়োপোকা
Laelia suffusa
Domain | Eukaryota |
Kingdom | Animalia |
Phylum | Arthropoda |
Class | Insecta |
Order | Lepidoptera |
Superfamily | Noctuoidea |
Family | Erebidae |
Genus | Laelia |
Species | L. suffusa |
Binomial Name | Laelia suffusa |
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, জাভা, ইস্ট ইন্ডিজ, সুন্দাল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং সুলাওয়েসি।
পোষক পরিসীমা
ধান, তৃণময় আগাছা
ডিম: উত্তল গোলাকার বাদামী-কালো রঙের ডিম যেগুলোর উপরের দিকে সামান্য গর্ত বা টোল থাকে যারা সাধারণত ০.৭ থেকে ০.৭৫ মিলিমিটার হতে পারে।
লার্ভা: নতুন উদ্ভূত এবং পূর্ণ বয়স্ক লার্ভা যথাক্রমে ০.৫ থেকে ১.০ মিলিমিটার এবং ১.৯৫ থেকে ৩.০ মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।লার্ভা্গুলোর দুইটি হলুদ এবং একটি কালো লম্বালম্বি ব্যান্ড থাকে এবং এদের শরীরে হলুদ লোম দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণভাবে লার্ভা পিউপেশনের আগে ৫-৬ টি ইনস্টার দেখতে পাওয়া যায় তবে কিছু ক্ষেত্রে ৮-৯ টি লার্ভা ইনস্টারও লক্ষ্য করা গেছে।
প্রাপ্তবয়স্ক: প্রাপ্তবয়স্ক মথগুলো যৌন জননের ক্ষেত্রে দ্বিরূপতা দেখায় এবং এরা ১.০৫-১.৬৫ সেমি লম্বা এবংএদের ডানার বিস্তৃতি ১.৪৫-১.৮৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়। উভয় লিঙ্গের ক্প্রাষেত্প্তরেই বয়স্করা হালকা পিতবর্নের-সাদা হয়ে থাকে কিন্তু পুরুষদের রঙ ছাড়াও, প্রতিটি সামনের ডানায় ছয়টি কালো দাগ থাকে। উভয় লিঙ্গের ক্ষেত্রে অ্যান্টেনা দ্বি-পেক্টিনেট তবে মহিলাদের অ্যান্টেনাগুলো আপাতদৃষ্টিতে পেকটিনেট বলে মনে হয় যা এদেরকে পুরুষদের থেকে স্পষ্টভাবে আলাদা করে শণাক্তকরণে সাহায্য করে। পুরুষ পোকার অ্যান্টেনার পার্শ্বীয় প্রক্রিয়া মহিলাদের তুলনায় ঘন বলে মনে হয়।
তথ্য পাওয়া যায়নি।
ধানের শুঁয়োপোকাগুলো এদের বাসস্থান এবং কার্যকলাপের ধরণের উপর ভিত্তি করে কিছু আচরণ এবং খাদ্যাভাস প্রকাশ করে থাকে। ধানের শুঁয়োপোকাগুলো নিশাচর এদের খাদ্যভ্যাসের মধ্যে রয়েছে রাতের বেলা সক্রিয়ভাবে ধানের চারা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা। Laelia suffusa এর আবাসস্থল পরিবেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ যা এদের খাদ্য এবং বিকাশের জন্য উপযুক্ হতে পারে।সাধারণত ধানের ক্ষেত, যেখানে ধান গাছের চাষ করা হয়, সে জায়গাগুলো ধানের শুঁয়োপোকার প্রাথমিক আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে। এরা এই পরিবেশে বৃদ্ধি লাভ করে এবং ধানক্ষেতের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে উপযুক্ত খাদ্যের উৎস খুঁজে পায়।
শুঁয়োপোকাগুলোর দেহ লাল ডোরা সহ হলুদ-বাদামী রঙ এর হয় এবং এদের একটি কমলা মাথা থাকে। এদের সারা শরীর লোমশ আবরণে বিস্তৃত থাকে যার মধ্যে অগ্রভাগে দুটি অংশে এবং পশ্চাৎদেশে একতি অংশ অভিক্ষিপ্ত থাকে। সাধারণত পাতার সাথে লাগানো রেশম ও ফ্রাসের ফ্যাকাশে সাদা কোকুনে পিউপা জন্মায় এবং প্রাপ্তবয়স্ক মথের সম্মুখ ডানাগুলো খড়ের রঙ বিশিষ্ট হয়ে থাকে। এটি পাতায় 57টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে। ডিমের সময়কাল 10-11 দিন। লার্ভার সময়কাল 25-35 দিন স্থায়ী হয়। ধানের শুঁয়োপোকার জীবনচক্রে বেশ কয়েকটি স্বতন্ত্র পর্যায় রয়েছে, যার প্রত্যেকটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং কার্যাবলী রয়েছে। জীবনচক্র সম্পূর্ণ মেটামর্ফোসিস প্রদর্শন করে।এটি চারটি প্রধান পর্যায় নিয়ে গঠিত: ডিম, লার্ভা (শুঁয়োপোকা), পিউপা এবং প্রাপ্তবয়স্ক।
প্রাপ্তবয়স্কঃ প্রাপ্তবয়স্ক মথগুলো যৌন জননের ক্ষেত্রে দ্বিরূপতা দেখায় এবং এরা ১.০৫-১.৬৫ সেমি লম্বা এবংএদের ডানার বিস্তৃতি ১.৪৫-১.৮৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়। উভয় লিঙ্গের ক্প্রাষেত্প্তরেই বয়স্করা হালকা পিতবর্নের-সাদা হয়ে থাকে কিন্তু পুরুষদের রঙ ছাড়াও, প্রতিটি সামনের ডানায় ছয়টি কালো দাগ থাকে। উভয় লিঙ্গের ক্ষেত্রে অ্যান্টেনা দ্বি-পেক্টিনেট তবে মহিলাদের অ্যান্টেনাগুলো আপাতদৃষ্টিতে পেকটিনেট বলে মনে হয় যা এদেরকে পুরুষদের থেকে স্পষ্টভাবে আলাদা করে শণাক্তকরণে সাহায্য করে। পুরুষ পোকার অ্যান্টেনার পার্শ্বীয় প্রক্রিয়া মহিলাদের তুলনায় ঘন বলে মনে হয়।
ডিমঃ উত্তল গোলাকার বাদামী-কালো রঙের ডিম যেগুলোর উপরের দিকে সামান্য গর্ত বা টোল থাকে যারা সাধারণত ০.৭ থেকে ০.৭৫ মিলিমিটার হতে পারে।
লার্ভা: নতুন উদ্ভূত এবং পূর্ণ বয়স্ক লার্ভা যথাক্রমে ০.৫ থেকে ১.০ মিলিমিটার এবং ১.৯৫ থেকে ৩.০ মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।লার্ভা্গুলোর দুইটি হলুদ এবং একটি কালো লম্বালম্বি ব্যান্ড থাকে এবং এদের শরীরে হলুদ লোম দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণভাবে লার্ভা পিউপেশনের আগে ৫-৬ টি ইনস্টার দেখতে পাওয়া যায় তবে কিছু ক্ষেত্রে ৮-৯ টি লার্ভা ইনস্টারও লক্ষ্য করা গেছে।
পিউপাঃ এদের পিউপা গাঢ় লালচে বাদামী।ীরা পিউপেশনের জন্য শুকনো জায়গা পছন্দ করে থাকে। পিউপাগুলোর ওজন পুরুষ ও মহিলাভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে যা যথাক্রমে 0.09-0.17g এবং 0.19-0.48g এর মত হয়ে থাকে।
ধানের শুঁয়োপোকা, ফসল, বিশেষ করে ধান গাছের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি হিসেবে পরিচিত। এই কীটগুলোর লার্ভা তাদের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে ধান গাছের পাতাকে লক্ষ্যবস্তু করে খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। এই খাদ্যাভ্যাসের পরিণতি হল ধানের ব্যাপক পচন, যার ফলে গাছপালা দুর্বল হয়ে যায় এবং বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায।
1. প্রাথমিক লক্ষণ হল ধান গাছের ব্যাপক পচন।
2. পাতায় আক্রমণের চিহ্ন,অনিয়মিত প্যাটার্ণ এবং পাতায় ব্যাপক ক্ষতের দাগ দেখতে পাওয়া যায়।
3. শুকিয়ে যাওয়া বা দুর্বল গাছগুলি শুঁয়োপোকার আক্রমণের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
4. পাতায় বা গাছের গোড়ার চারপাশে ফ্রাসের উপস্থিতি একটি উপদ্রব নির্দেশ করতে পারে।
1. শুঁয়োপোকাদের ব্যাপকভাবে খাদ্য গ্রহণের ফলে ধান গাছের ক্ষতি ব্যাপকভাবে লক্ষণীয়।
2. শুঁয়োপোকা খাদ্যগ্রহনের বৈশিষ্ট্য হল এরা পাতায় অনিয়মিত প্যাটার্ন, গর্ত এবং ক্ষতির সৃষ্টি করে। চিহ্নগুলি আকার এবং আকৃতিতে পরিবর্তিত হতে পারে।
3. শুঁয়োপোকাগুলি পাতার কিনারায় খাবার খেতে পারে, যার ফলে পাতার প্রান্ত বরাবর বৈশিষ্ট্যযুক্ত খাঁজ বা স্কালোপিং হতে পারে।
4. শুঁয়োপোকা বিষ্ঠা, যা ফ্রাস নামে পরিচিত, পাতায় বা গাছের গোড়ার চারপাশে জমা হতে পারে।
5. সরাসরি উপসর্গ প্রকাশ না পেলেও, রাতে খাদ্যগ্রহণের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে শুঁয়োপোকার উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যেতে পারে।
এটি পাতা এবং শস্য খাওয়ার মাধ্যমে ধানের ফসলের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করতে পারে। ফসলের সংরক্ষণ এবং উচ্চমানের ধানের উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা অপরিহার্য। এই শুয়াপোকার উপস্থিতি ধানের ক্ষেতে অন্যান্য পোকামাকড়ের বৈচিত্রকে প্রভাবিত করতে পারে।
ধানের শুঁয়োপোকা কীটনাশক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। সৌভাগ্যবশত, বেশিরভাগ প্রজাতির প্রাকৃতিক শত্রু রয়েছে যা তাদের সংখ্যাকে বাহিরের পরিবেশে যেমন ল্যান্ডস্কেপ এবং বাগানে ক্ষতিকর মাত্রার নিচে রাখে। এগুলি পরিচালনা করার সর্বোত্তম পদ্ধতি হল সমস্যাগুলির জন্য কম প্রবণ গাছগুলি বেছে নেওয়া।গাছগুলিকে আপনার নার্সারিতে আনার আগে পরিদর্শন করা এবং তাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জৈবিক নিয়ন্ত্রণ এবং প্রচলিত প্রক্রিয়াগু্লোর উপর নির্ভর করা।
1. ধানের শুয়াপোকার ডিমগুলি ট্রাইকোগ্রামমাটিড ওয়াপস দ্বারা আক্রমণের শিকার হয় হয়।
2. চালসিড ওয়াসপ এবং দুটি প্রজাতির ট্যাচিনিড মাছি লার্ভাকে সংক্রমণ করে এবং একটি ভেসপিড ওয়াস্প লার্ভাগুলোকে শিকার করে।
3. লাঙল চাষের পর পাখিরা ডিম শিকারের উন্মুক্ত করুন এবং বাঁধগুলি ছাঁটাই করুন।
4. মিডো ঘাসফড়িং, পিঁপড়া, পাখি এবং টোড শুঁয়োপোকাগুলোকে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে।
কৃষকরা তাদের ফসলের উপর ধানের লোমশ শুঁয়োপোকার প্রভাব কমাতে বিভিন্ন প্রচলিত কৌশল অবলম্বন করতে পারে। একটি প্রধাণ প্রক্রিয়া বা চর্চা হ'ল শস্য চাষের ঘূর্ণন বা পরিক্রমা বজায় রাখা, যা শুয়পোকাগুলোর জীবনচক্রকে ব্যাহত করতে এবং এদের জনসংখ্যার ঘনত্ব হ্রাস করতে সাহায্য করবে।এক্ষেত্রে ধান ব্যতীত অন্য শস্য ধানের বিকল্প হিসেবে চাষ করা যেতে পারে। প্রারম্ভিক রোপণ হল আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি, কারণ এটি শুঁয়োপোকার কার্যকলাপের সর্বোচ্চ সময়কাল এড়াতে সাহায্য করে, অল্প বয়স্ক ধান গাছের সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। উপরন্তু, ফসলের অবশিষ্টাংশ এবং আগাছা অপসারণের মাধ্যমে সঠিক মাঠ পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা শুঁয়োপোকার জন্য সম্ভাব্য আবাসস্থল এবং খাদ্যের উৎসগুলোকে দূর করতে পারে। এই প্র্যাকটিসগুলো এদের প্রাকৃতিক শত্রুদের কার্যকলাপকেও বৃদ্ধি করে, এতে শুয়াপোকার বেঁচে থাকার জন্য কম অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয় । এই অনুশীলনগুলোকে চাষাবাদের রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে, কৃষকরা ধানের ফসলের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং উৎপাদনশিলতা প্রসারের পাশাপাশি এই পোকাগুলোর বিরুদ্ধে টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখতে পারেন।
প্রাকৃতিক শত্রু, যেমন প্যারাসাইটয়েড, শিকারী এবং পোকামাকড়কে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে এমন পাখি এই শুয়াপোকাগুলোর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধানের ক্ষেতে এধরনের উপকারী জীবের উপস্থিতি ও সংরক্ষণকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে শুঁয়োপোকার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। শিকারী পোকামাকড়, যেমন কিছু ওয়াস্প প্রজাতি, শুঁয়োপোকার উপর বা ভিতরে তাদের ডিম পাড়ে এবং কার্যকরভাবে পরজীবিকরণের মাধ্যমে এদের সংখ্যা হ্রাস করে। একইভাবে, কীটনাশক পাখিরা শুঁয়োপোকা খাওয়ার মাধ্যমে জৈবিক নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখে। জীববৈচিত্র্যকে উন্নীত করে এমন কৃষি পদ্ধতি গ্রহণ করা, যেমন ঝোপের সারি এবং কভার ফসল বজায় রাখা, প্রাকৃতিক শত্রুদের যথাযথ আবাসস্থল প্রদান করা ইত্যাদি। ব্রড-স্পেকট্রাম কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে, কৃষকরা উপকারী পোকামাকড়কে বংশবিস্তারের সুযোগ করে দিলে আরও ভারসাম্যপূর্ণ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠবে। জৈবিক নিয়ন্ত্রণ কৌশল বাস্তবায়ন টেকসই কৃষি অনুশীলনের সাথে একত্রে অবস্থান করে যা বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে শুয়াপোকা দমনে কার্যকর এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখে।
তথ্য পাওয়া যায়নি।
1. কীটনাশক এড়িয়ে চলুন।
2. কেমিক্যালগুলো পরিচালনা করার সময় সর্বদা প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরুন, পণ্যে নির্দেশিত নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
তথ্য পাওয়া যায়নি।
তথ্য পাওয়া যায়নি।